নিজস্ব প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগে মোজাম্মেল হক মানিক নামের এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ৮ই মার্চ ২০২৫ ইং রোজ শনিবার সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ কচুবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিক্ষার্থীর পরিবার ধর্ষণের এই অভিযোগ করেন। পরে বিকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সেই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন,বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক স্কুলের বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ান। প্রতিদিনের মতো প্রাইভেটে যায় ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী। অভিযোগকারি বলেন এ সময় সুযোগ বুঝে আমাদের মেয়ের সঙ্গে নরপশুর মতো হিংস্র আচরণ করেছে ওই শিক্ষক। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি| বিষয়টি অবগত হওয়ার পরে হাসপাতালে সেই শিশু ও শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা। এ সময় তিনি বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে শিশুটির সার্বিক চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহনের আশ্বাস দেন। ঠাকুরগাঁও ২৫০শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) রাকিবুল আলম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে একটি শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি এবং এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। এই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন,অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।